নিজস্বপ্রতিবেদক :সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ) আসনের জগন্নাথপুর উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। অনেক ভোট কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনতে পারেন নি। রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জগন্নাথপুরের ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম সন্ধা ৭টার দিকে এ প্রতিবেদক কে জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার ৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৫টি কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকার প্রার্থী পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন। ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জানান, উপজেলায় ২৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরশহরের ইকড়ছই সিনিয়র হাফিজিয়া আলিয়া মাদরাসা, জগন্নাথপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বরূপ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, হবিবপুর আব্দুল তাহিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একেবারে কম।কোথাও কোথাও ভোটার উপস্থিতি নেই বললে চলে। স্হানীয় আলীগ নেতা মাহবুবুল হক সিরামিসি হাইস্কুল কেন্দ্রে আখনি করেও ভোটার দের আনতে পারেনি।
সংবাদ কর্মী আমিনূর রহমান জিলু বলেন,
উপজেলার অনেক কেন্দ্র ঘুরে যতটুকু বুজেছি ভোটার উপস্হিতি একেবারে নগন্য ছিল। এধরণের নির্বাচন আগে দেখিনি। ভোটের হার ৫% এর বেশী হবে না।
সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে বেশির ভাগ কেন্দ্র প্রায় ভোটারশূন্য দেখা গেছে। তবে মাঝেমধ্যে আবার ভোটারের সংখ্যা কিছুটা দেখা গেছে।এদিকে ভোটারশূন্য কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ও সুফল মেলেনি।। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতাকর্মির তৎপরতা দেখা গেছে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে।তাঁরা ছোট যানবাহন নিয়ে বাসা-বাড়িতে ছুটেন ভোটারদের কেন্দ্রে ফেরাতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থীর সমর্থক বলেন, নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম। ভোটকেন্দ্রে আসতে চান না। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়েও তাদের ভোটকেন্দ্রে আনতে পারিনাই। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের তৌফিক আলী মিনার ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মকবুল হোসেন। এই আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৩ হাজার ৭২৮ জন, মহিলা ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ৯২১ জন ও হিজড়া ভোটার চারজন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৫টি।
Leave a Reply